ধূমকেতুর
মতো হঠাৎ জ্বলে উঠে
হারিয়ে যেতে নয়, সঠিক
সময়ে জ্বলে উঠে বিস্ফোরণের শক্তিটা
কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। দুবাইতে ভারতের বিপক্ষে
ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে
এমনটাই জানিয়েছেন কোচ ফিল সিমন্স।
এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে হংকং ও আফগানিস্তানের
সঙ্গে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে জয় আর শ্রীলঙ্কার
কাছে একপেশে হারের পর সুপার ফোরের
প্রথম ম্যাচে সেই শ্রীলঙ্কাকেই হেসেখেলে
হারিয়েছে বাংলাদেশ। পরপর দুটো দিন
দুটো ম্যাচ, প্রতিপক্ষ ভারত আর পাকিস্তান।
একটা ম্যাচ জিতলেই খুলে জেতে পারে
ফাইনালের দরজা। যে দলটাকে অনেক
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ সুপার ফোরেই দেখেননি, তাদের ফাইনালে দেখার সম্ভাবনা যে জোরালো!
মাস
ছয়েকের ভেতর ঘরের মাঠে
বিশ্বকাপের শিরোপা ধরে রাখার লড়াইতে
যে নতুন যুগের সৈনিকদের
তৈরি করেছে ভারত, তারা গ্ল্যাডিয়েটরের মতো
উঠে এসেছে আইপিএল-এর কলোসিয়াম থেকে।
অভিষেক শর্মা, তিলক বর্মা, বরুণ
চক্রবর্তীদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা হয়তো কম, তবে
এর চেয়েও অনেক বেশি চাপের
আইপিএল দিয়েই তাদের উত্থান।
শ্রীলঙ্কার
বিপক্ষে জয়ের পরেও সিমন্সের
মুখ ছিল অভিব্যক্তিহীন। কেন
এই জয় সিমন্সের মুখে
হাসি ফোটাতে পারেনি? উত্তরে কোচ বলেছেন, ‘আমি
এমন একজন যে আবেগকে
নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করি। আমরা এখানে
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটা ম্যাচ জিততে
আসিনি, আমরা এখানে টুর্নামেন্ট
জিততে এসেছি। আমরা টুর্নামেন্ট থেকে
ছিটকে গেলে অথবা টুর্নামেন্ট
জিতলে না হয় আমার
আবেগ বহিঃপ্রকাশের একটা সুযোগ আসবে।
আমাকে তো ড্রেসিং রুমে
সবাইকে শান্ত রাখতে হবে।’
দুবাইতে
পরে ব্যাটিং করাটা তুলনামূলক সহজ, তাই টস
জিতে পরে ব্যাট করা
দলই জিতছে এমন সূত্রের সত্যতা
খূঁজে পান না সিমন্স,
‘দেখুন ৪০ ওভারে উইকেটে
এমন কোনো তারতম্য সৃষ্টি
হয় না। দুবাই আমার
দেখা সেরা উইকেটগুলোর একটা,
আগের রাতেও তাই ছিল। উইকেটটা
ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো,
বোলারদের ভালো বোলিং করতে
হবে। আমার মনে হয়
টস কোনো প্রভাব রাখে
না।’
আসরের
শুরুতে সাইফ হাসান ছিলেন
একাদশের বাইরে, তাওহীদ হৃদয় ছিলেন না
ছন্দে। সবশেষ ম্যাচে সাইফ আর হৃদয়ই
জেতালেন দারুণ ব্যাট করে, সিমন্স বলেছেন
কোনো টুর্নামেন্টে সঠিক সময়ে জ্বলে
ওঠাটাই গুরুত্বপূর্ণ, ‘এটাই হলো আসল
ব্যাপার। কেউ কেউ শুরুটা
ভালো করে আর তারপর
খেই হারিয়ে ফেলে। কেউ কেউ শুরুতে
ছন্দে থাকে না তবে
যখন দরকার তখন জ্বলে ওঠে।
হৃদয় যেভাবে ফর্ম ফিরে পেয়েছে
তাতে আমি খুবই খুশি,
সে এখন ফর্মে থাকা
অধিনায়ককে সঙ্গ দিচ্ছে। সাইফও
খুব ভালো ব্যাটিং করছে।
আমরা খুব ভালো একটা
ব্যাটিং ইউনিট পেয়েছি, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
এত
ভালো ব্যাটিং ইউনিট পেয়েও বাংলাদেশের এই আসরে সর্বোচ্চ
দলীয় ইনিংস ৬ উইকেটে ১৬৯,
১৯.৫ ওভারে।
শাহিন
শাহ আফ্রিদি-হারিস রউফ-আবরার আহমেদদের
অসহায়ের মতো মার খেতে
দেখার পর তাসকিন আহমেদ-শরিফুল ইসলাম-রিশাদ হোসেনদের নিয়ে শঙ্কা জাগাটাই
স্বাভাবিক। তবে খেলাটা তো
ক্রিকেট, এখানে অকল্পনীয় অনেক কিছুই তো
সত্যি হয়!
ধ্রুবকন্ঠ/এমআর
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ধূমকেতুর
মতো হঠাৎ জ্বলে উঠে
হারিয়ে যেতে নয়, সঠিক
সময়ে জ্বলে উঠে বিস্ফোরণের শক্তিটা
কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। দুবাইতে ভারতের বিপক্ষে
ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে
এমনটাই জানিয়েছেন কোচ ফিল সিমন্স।
এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে হংকং ও আফগানিস্তানের
সঙ্গে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে জয় আর শ্রীলঙ্কার
কাছে একপেশে হারের পর সুপার ফোরের
প্রথম ম্যাচে সেই শ্রীলঙ্কাকেই হেসেখেলে
হারিয়েছে বাংলাদেশ। পরপর দুটো দিন
দুটো ম্যাচ, প্রতিপক্ষ ভারত আর পাকিস্তান।
একটা ম্যাচ জিতলেই খুলে জেতে পারে
ফাইনালের দরজা। যে দলটাকে অনেক
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ সুপার ফোরেই দেখেননি, তাদের ফাইনালে দেখার সম্ভাবনা যে জোরালো!
মাস
ছয়েকের ভেতর ঘরের মাঠে
বিশ্বকাপের শিরোপা ধরে রাখার লড়াইতে
যে নতুন যুগের সৈনিকদের
তৈরি করেছে ভারত, তারা গ্ল্যাডিয়েটরের মতো
উঠে এসেছে আইপিএল-এর কলোসিয়াম থেকে।
অভিষেক শর্মা, তিলক বর্মা, বরুণ
চক্রবর্তীদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা হয়তো কম, তবে
এর চেয়েও অনেক বেশি চাপের
আইপিএল দিয়েই তাদের উত্থান।
শ্রীলঙ্কার
বিপক্ষে জয়ের পরেও সিমন্সের
মুখ ছিল অভিব্যক্তিহীন। কেন
এই জয় সিমন্সের মুখে
হাসি ফোটাতে পারেনি? উত্তরে কোচ বলেছেন, ‘আমি
এমন একজন যে আবেগকে
নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেষ্টা করি। আমরা এখানে
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটা ম্যাচ জিততে
আসিনি, আমরা এখানে টুর্নামেন্ট
জিততে এসেছি। আমরা টুর্নামেন্ট থেকে
ছিটকে গেলে অথবা টুর্নামেন্ট
জিতলে না হয় আমার
আবেগ বহিঃপ্রকাশের একটা সুযোগ আসবে।
আমাকে তো ড্রেসিং রুমে
সবাইকে শান্ত রাখতে হবে।’
দুবাইতে
পরে ব্যাটিং করাটা তুলনামূলক সহজ, তাই টস
জিতে পরে ব্যাট করা
দলই জিতছে এমন সূত্রের সত্যতা
খূঁজে পান না সিমন্স,
‘দেখুন ৪০ ওভারে উইকেটে
এমন কোনো তারতম্য সৃষ্টি
হয় না। দুবাই আমার
দেখা সেরা উইকেটগুলোর একটা,
আগের রাতেও তাই ছিল। উইকেটটা
ব্যাটিংয়ের জন্য খুব ভালো,
বোলারদের ভালো বোলিং করতে
হবে। আমার মনে হয়
টস কোনো প্রভাব রাখে
না।’
আসরের
শুরুতে সাইফ হাসান ছিলেন
একাদশের বাইরে, তাওহীদ হৃদয় ছিলেন না
ছন্দে। সবশেষ ম্যাচে সাইফ আর হৃদয়ই
জেতালেন দারুণ ব্যাট করে, সিমন্স বলেছেন
কোনো টুর্নামেন্টে সঠিক সময়ে জ্বলে
ওঠাটাই গুরুত্বপূর্ণ, ‘এটাই হলো আসল
ব্যাপার। কেউ কেউ শুরুটা
ভালো করে আর তারপর
খেই হারিয়ে ফেলে। কেউ কেউ শুরুতে
ছন্দে থাকে না তবে
যখন দরকার তখন জ্বলে ওঠে।
হৃদয় যেভাবে ফর্ম ফিরে পেয়েছে
তাতে আমি খুবই খুশি,
সে এখন ফর্মে থাকা
অধিনায়ককে সঙ্গ দিচ্ছে। সাইফও
খুব ভালো ব্যাটিং করছে।
আমরা খুব ভালো একটা
ব্যাটিং ইউনিট পেয়েছি, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
এত
ভালো ব্যাটিং ইউনিট পেয়েও বাংলাদেশের এই আসরে সর্বোচ্চ
দলীয় ইনিংস ৬ উইকেটে ১৬৯,
১৯.৫ ওভারে।
শাহিন
শাহ আফ্রিদি-হারিস রউফ-আবরার আহমেদদের
অসহায়ের মতো মার খেতে
দেখার পর তাসকিন আহমেদ-শরিফুল ইসলাম-রিশাদ হোসেনদের নিয়ে শঙ্কা জাগাটাই
স্বাভাবিক। তবে খেলাটা তো
ক্রিকেট, এখানে অকল্পনীয় অনেক কিছুই তো
সত্যি হয়!
ধ্রুবকন্ঠ/এমআর
আপনার মতামত লিখুন