ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বাঁশকুড়ি গ্রামে বৃদ্ধ দম্পতিকে হত্যা করে শোবার ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখার অভিযোগে তাদের একমাত্র ছেলে রিয়াদ হোসেন ওরফে রাজু মিয়াকে (২৫) বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বেলা তিনটার দিকে আটক করেছে পুলিশ।
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের বাঁশকুড়ি গ্রামে বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে ও রাতে পৃথক সময়ে বাবা-মাকে হত্যা করে তাদের লাশ ঘরের ভেতরে চার ফুট গভীর গর্তে পুঁতে রাখেন ছেলে রিয়াদ হোসেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ১১টার দিকে মাকে গলা টিপে এবং রাত দুইটার দিকে বাবাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে দুজনের লাশ একই রুমে মাটি খুঁড়ে চাপা দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে নিহত মোহাম্মদ আলী (৭০) ও তাঁর স্ত্রী বানোয়ারা বেগম (৬০)-এর খোঁজ না পেয়ে প্রতিবেশী এনামুল হক কয়েকজন স্থানীয়কে নিয়ে তাদের বাড়িতে যান। সেখানে ছেলে রিয়াদকে জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে তিনি ‘জানি না’ বললেও পরে স্বীকারোক্তি দেন যে, “মেরে ফেলেছি।” এরপর ত্রিশাল থানার পুলিশ তাকে আটক করে এবং বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঘরের মেঝে খুঁড়ে দুই লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রিয়াদ হোসেন গত পাঁচ বছর ধরে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছিলেন। তিন লাখ টাকার জন্য কয়েক দিন ধরে মা-বাবাকে চাপ দিচ্ছিলেন। তাঁর বড় বোন জরিনা খাতুন বলেন, “যত দিন ধরে জুয়া খেলা শুরু করেছে, তখন থেকে টাকার জন্য চাপ দিত। টাকার জন্যই মা-বাবাকে মেরেছে।” একই অভিযোগ তুলেছেন বানোয়ারা বেগমের ভাতিজা আলী হোসেন ও স্থানীয় শহীদ মণ্ডল।
নিহত মোহাম্মদ আলী স্থানীয় এক মাছের খামারে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার তিনি কাজে না যাওয়ায় প্রতিবেশীরা তাঁর মোবাইলে কল করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়, যা সন্দেহ তৈরি করে। এ ঘটনায় গ্রামবাসী অনলাইন জুয়া ও মাদক বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। গ্রামে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড আগে কখনো ঘটেনি বলে জানান স্থানীয়রা।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, “ছেলে মা-বাবাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রেখেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সে ব্যবসার কথা বলে টাকা চাইছিল, কিন্তু আসলে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছিল।” তিনি আরও বলেন, অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।
বিকেলে বাঁশকুড়ি গ্রামে দম্পতির বাড়ি ঘিরে এলাকাবাসীর ভিড় জমে। অনেকেই এ ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ ও ‘অকল্পনীয়’ বলে আখ্যায়িত করেন। স্থানীয় শহীদ মণ্ডল বলেন, “ছেলে সন্তান বাপ-মাকে মারবে—এটা কখনো ভাবিনি। মোবাইলে জুয়া এখন আমাদের জন্য দুর্যোগ হয়ে গেছে।”
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ১০ অক্টোবর ২০২৫
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বাঁশকুড়ি গ্রামে বৃদ্ধ দম্পতিকে হত্যা করে শোবার ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখার অভিযোগে তাদের একমাত্র ছেলে রিয়াদ হোসেন ওরফে রাজু মিয়াকে (২৫) বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বেলা তিনটার দিকে আটক করেছে পুলিশ।
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের বাঁশকুড়ি গ্রামে বুধবার (৮ অক্টোবর) সকালে ও রাতে পৃথক সময়ে বাবা-মাকে হত্যা করে তাদের লাশ ঘরের ভেতরে চার ফুট গভীর গর্তে পুঁতে রাখেন ছেলে রিয়াদ হোসেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ১১টার দিকে মাকে গলা টিপে এবং রাত দুইটার দিকে বাবাকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে দুজনের লাশ একই রুমে মাটি খুঁড়ে চাপা দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে নিহত মোহাম্মদ আলী (৭০) ও তাঁর স্ত্রী বানোয়ারা বেগম (৬০)-এর খোঁজ না পেয়ে প্রতিবেশী এনামুল হক কয়েকজন স্থানীয়কে নিয়ে তাদের বাড়িতে যান। সেখানে ছেলে রিয়াদকে জিজ্ঞাসা করলে প্রথমে তিনি ‘জানি না’ বললেও পরে স্বীকারোক্তি দেন যে, “মেরে ফেলেছি।” এরপর ত্রিশাল থানার পুলিশ তাকে আটক করে এবং বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঘরের মেঝে খুঁড়ে দুই লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রিয়াদ হোসেন গত পাঁচ বছর ধরে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছিলেন। তিন লাখ টাকার জন্য কয়েক দিন ধরে মা-বাবাকে চাপ দিচ্ছিলেন। তাঁর বড় বোন জরিনা খাতুন বলেন, “যত দিন ধরে জুয়া খেলা শুরু করেছে, তখন থেকে টাকার জন্য চাপ দিত। টাকার জন্যই মা-বাবাকে মেরেছে।” একই অভিযোগ তুলেছেন বানোয়ারা বেগমের ভাতিজা আলী হোসেন ও স্থানীয় শহীদ মণ্ডল।
নিহত মোহাম্মদ আলী স্থানীয় এক মাছের খামারে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার তিনি কাজে না যাওয়ায় প্রতিবেশীরা তাঁর মোবাইলে কল করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়, যা সন্দেহ তৈরি করে। এ ঘটনায় গ্রামবাসী অনলাইন জুয়া ও মাদক বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। গ্রামে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড আগে কখনো ঘটেনি বলে জানান স্থানীয়রা।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, “ছেলে মা-বাবাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রেখেছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সে ব্যবসার কথা বলে টাকা চাইছিল, কিন্তু আসলে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছিল।” তিনি আরও বলেন, অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।
বিকেলে বাঁশকুড়ি গ্রামে দম্পতির বাড়ি ঘিরে এলাকাবাসীর ভিড় জমে। অনেকেই এ ঘটনাকে ‘দুঃখজনক’ ও ‘অকল্পনীয়’ বলে আখ্যায়িত করেন। স্থানীয় শহীদ মণ্ডল বলেন, “ছেলে সন্তান বাপ-মাকে মারবে—এটা কখনো ভাবিনি। মোবাইলে জুয়া এখন আমাদের জন্য দুর্যোগ হয়ে গেছে।”
আপনার মতামত লিখুন