রোমানিয়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালী কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে শাহীন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীদের দাবি, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে চাকরির সুযোগ দেওয়ার নাম করে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, সর্বপ্রথম মোস্তাফিজুর রহমানকে রোমানিয়ার ৫০টি বই (ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় নথি) সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে ৪০টির জন্য প্রতিটি ৫০ হাজার টাকা করে মোট ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। প্রতিশ্রুতি ছিল সাত থেকে আট মাসের মধ্যে প্রার্থীদের রোমানিয়া পাঠানো হবে। কিন্তু দেড় বছর পার হলেও কাউকে এম্বাসি পর্যন্ত নিতে সক্ষম হননি তিনি।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, গ্রাহকদের শান্ত রাখতে ভুয়া ওয়ার্ক পারমিট সরবরাহ করেন মোস্তাফিজ। এতে গ্রাহকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতারিত হওয়ার কথা প্রকাশ করেন। এরপর ভুক্তভোগীরা মোস্তাফিজকে টাকাগুলো ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দেন। বহু কৌশলের মাধ্যমে কিছু নথি উদ্ধার করা গেলেও টাকা ফেরত মেলেনি। তিনি বিভিন্ন সময় অল্প অল্প টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কালক্ষেপণ করেছেন।
পরে আরও লিথুনিয়ার জন্য ১৩টি বইয়ের ক্ষেত্রে লিথুনিয়া বাবদ ১৩ লাখ টাকা গ্রহণ করেন তিনি। একই কৌশলে কাজের নামে প্রতারণা চালালেও কাউকে এম্বাসি পর্যন্ত পাঠাতে পারেননি। এখন পর্যন্ত মোট ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ৫০০ টাকা ভুক্তভোগীর কাছ থেকে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে কয়েক মাসে পাঁচ-ছয় লাখ টাকা ফেরত দিলেও বাকি টাকা ফেরত দেননি তিনি।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, বর্তমানে চার থেকে পাঁচ মাস ধরে মোস্তাফিজ তাদের ফোন ধরছেন না, কোনো টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। শুধু তাই নয়, তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি প্রায়ই বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন হোটেলে সময় কাটান এবং মানুষের টাকা আত্মসাৎ করে ভোগবিলাসে মেতে ওঠেন।
অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে শাহীনের মা ফয়জুন্নেসা ও বাবা আবু তাহের মিঠুর সাথেও যোগাযোগ করা হলেও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগীদের দাবি, এ ধরনের প্রতারকদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের কষ্টার্জিত টাকা ফেরত দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রোমানিয়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালী কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে শাহীন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীদের দাবি, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে চাকরির সুযোগ দেওয়ার নাম করে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, সর্বপ্রথম মোস্তাফিজুর রহমানকে রোমানিয়ার ৫০টি বই (ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় নথি) সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে ৪০টির জন্য প্রতিটি ৫০ হাজার টাকা করে মোট ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। প্রতিশ্রুতি ছিল সাত থেকে আট মাসের মধ্যে প্রার্থীদের রোমানিয়া পাঠানো হবে। কিন্তু দেড় বছর পার হলেও কাউকে এম্বাসি পর্যন্ত নিতে সক্ষম হননি তিনি।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, গ্রাহকদের শান্ত রাখতে ভুয়া ওয়ার্ক পারমিট সরবরাহ করেন মোস্তাফিজ। এতে গ্রাহকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতারিত হওয়ার কথা প্রকাশ করেন। এরপর ভুক্তভোগীরা মোস্তাফিজকে টাকাগুলো ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দেন। বহু কৌশলের মাধ্যমে কিছু নথি উদ্ধার করা গেলেও টাকা ফেরত মেলেনি। তিনি বিভিন্ন সময় অল্প অল্প টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কালক্ষেপণ করেছেন।
পরে আরও লিথুনিয়ার জন্য ১৩টি বইয়ের ক্ষেত্রে লিথুনিয়া বাবদ ১৩ লাখ টাকা গ্রহণ করেন তিনি। একই কৌশলে কাজের নামে প্রতারণা চালালেও কাউকে এম্বাসি পর্যন্ত পাঠাতে পারেননি। এখন পর্যন্ত মোট ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ৫০০ টাকা ভুক্তভোগীর কাছ থেকে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে কয়েক মাসে পাঁচ-ছয় লাখ টাকা ফেরত দিলেও বাকি টাকা ফেরত দেননি তিনি।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, বর্তমানে চার থেকে পাঁচ মাস ধরে মোস্তাফিজ তাদের ফোন ধরছেন না, কোনো টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। শুধু তাই নয়, তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি প্রায়ই বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন হোটেলে সময় কাটান এবং মানুষের টাকা আত্মসাৎ করে ভোগবিলাসে মেতে ওঠেন।
অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে শাহীনের মা ফয়জুন্নেসা ও বাবা আবু তাহের মিঠুর সাথেও যোগাযোগ করা হলেও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগীদের দাবি, এ ধরনের প্রতারকদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের কষ্টার্জিত টাকা ফেরত দিতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন