সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ শহরে অপরাধ দমনে ব্যবহৃত অধিকাংশ সিসি ক্যামেরা দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। এর ফলে অপরাধীরা সহজে অপরাধ সংঘটন করে পার পেয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয় পুলিশ ও বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
বর্তমান পরিস্থিতি
২০২১ সালে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ শহরের ৬৫টি পয়েন্টে ১০০টি সিসি ক্যামেরার একটি কন্ট্রোল অ্যান্ড মনিটরিং সেন্টার চালু করেছিল। তবে বর্তমানে এর বেশিরভাগই অকার্যকর। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান যেমন এসএস রোড, মুজিব সড়ক, কড়িতলা ও বাজার স্টেশন এলাকার ক্যামেরাগুলো নষ্ট অবস্থায় পড়ে আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, "ক্যামেরাগুলো অকেজো থাকায় আমাদের পক্ষে অপরাধীদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক সময় অপরাধীরা অপরাধ করার আগেই ক্যামেরা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে।"
জনগণের উদ্বেগ ও কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ স্থানীয় ব্যবসায়ী নোমান জানান, "ব্যাংকের কাছাকাছি এলাকায় প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে এবং মাঝে মাঝে মোটরসাইকেল চুরিও হয়। সিসি ক্যামেরা না থাকায় অপরাধীরা ধরা পড়ছে না।" একইভাবে, স্থানীয় বাসিন্দা জুয়েল বলেন, "শহরে চুরি-ছিনতাই বেড়েছে। ক্যামেরা থাকলে পুলিশ দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পারত।" এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন বলেন, সিসি ক্যামেরা থাকলে অপরাধী শনাক্ত করা সহজ হয়। তিনি জানান, তারা জেলা প্রশাসক ও পৌরসভার সঙ্গে আলোচনা করেছেন, যাতে নতুন করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা যায়। শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দ্রুত এসব ক্যামেরা সচল করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষ উভয়ই একমত পোষণ করছেন।বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
প্রকাশের তারিখ : ৩১ আগস্ট ২০২৫
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ শহরে অপরাধ দমনে ব্যবহৃত অধিকাংশ সিসি ক্যামেরা দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। এর ফলে অপরাধীরা সহজে অপরাধ সংঘটন করে পার পেয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয় পুলিশ ও বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
বর্তমান পরিস্থিতি
২০২১ সালে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ শহরের ৬৫টি পয়েন্টে ১০০টি সিসি ক্যামেরার একটি কন্ট্রোল অ্যান্ড মনিটরিং সেন্টার চালু করেছিল। তবে বর্তমানে এর বেশিরভাগই অকার্যকর। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান যেমন এসএস রোড, মুজিব সড়ক, কড়িতলা ও বাজার স্টেশন এলাকার ক্যামেরাগুলো নষ্ট অবস্থায় পড়ে আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, "ক্যামেরাগুলো অকেজো থাকায় আমাদের পক্ষে অপরাধীদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক সময় অপরাধীরা অপরাধ করার আগেই ক্যামেরা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করে।"
জনগণের উদ্বেগ ও কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ স্থানীয় ব্যবসায়ী নোমান জানান, "ব্যাংকের কাছাকাছি এলাকায় প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে এবং মাঝে মাঝে মোটরসাইকেল চুরিও হয়। সিসি ক্যামেরা না থাকায় অপরাধীরা ধরা পড়ছে না।" একইভাবে, স্থানীয় বাসিন্দা জুয়েল বলেন, "শহরে চুরি-ছিনতাই বেড়েছে। ক্যামেরা থাকলে পুলিশ দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে পারত।" এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন বলেন, সিসি ক্যামেরা থাকলে অপরাধী শনাক্ত করা সহজ হয়। তিনি জানান, তারা জেলা প্রশাসক ও পৌরসভার সঙ্গে আলোচনা করেছেন, যাতে নতুন করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা যায়। শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দ্রুত এসব ক্যামেরা সচল করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষ উভয়ই একমত পোষণ করছেন।
আপনার মতামত লিখুন