দাবি আদায় করতে গিয়ে জনগণের হয়রানির কারন হচ্ছি না তো?

ইউনুছ সরকারের কাছে গুপ্তধন আছে, তাই যার যখন মন চায় তখনই রাস্তায় নেমে যায়। ঐ দিকে রোহিঙ্গা ও ভারতের পুশইন সমস্যা, অর্থনৈতিক সমস্যা, বিনিয়োগ তলানিতে, বেকার সমস্যা প্রকোট, এম, এ পাশ করে ইংরেজিতে কথা বলতে পারে না, এমন অগনিত সমস্যা।
দেশের স্বার্থে আন্দোলন করলে সেটাতে সবাই যোগ দেয়, রাস্তা ব্লকেট সমস্যা হয় না কারো, সবারই এক দাবি থাকে, কারণ সবাই এখানে একমত।
কিন্তু নিজস্ব স্বার্থ কিংবা কোন একক প্রতিষ্ঠান আন্দোলনের ক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট জায়গা থাকা দরকার নির্দিষ্ট প্রসেস থাকা দরকার। কারণ এখানে নির্দিষ্ট ওই একক ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের জন্য অন্যান্য হাজারো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
এটাতো জিম্মি করে দাবি আদায় এর পদ্ধতি। প্রোপার উপায়ে কখনোই হতে পারে না। জিম্মি করে দাবি আদায় সফল হলে কালকে আরেক দল এসে জিম্মি করবে, পরশু আরেক দল এসে জিম্মি করবে, তারপরের দিন পাগলে এসেও জিম্মি করে আন্দোলনের চেষ্টা করবে, তখন আপনারা আন্দোলনকারীরাও কিছু বলতে পারবেন না তাদের, কারণ আপনারাই এটার উদাহরণ তৈরি করেছেন। আপনারা কি উদাহরণ তৈরি করছেন কিংবা করতে চাচ্ছেন অন্যদের জন্য, সেটা কি ভেবে দেখেছেন।
পড়াশোনা করে জ্ঞান অর্জন করছেন, একটু জ্ঞানটা ব্যবহার করুন, কিভাবে সুন্দর ভাবে আন্দোলন করা যায়, দাবি আদায় করা যায়, সেটা করুন। দেশ তো আপনার আমার সবারই। দেশের মানুষের ভোগান্তি কমাতে পারলে তবেই তো আপনার পড়ালেখা সার্থক তাই না?
নির্দিষ্ট কোন জায়গায় বেছে নিন সবাই আন্দোলন করার জন্য, সেখানে করুন। মিডিয়া প্রচার করবে, সরকারের কানে যাবে। গোলটেবিল বৈঠক হবে, বিবেচনা হবে, সব হবে, যেহেতু এটা একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের আন্দোলন।
সবাইকে কষ্ট দেওয়ার মানে কি।
দেশের স্বার্থে আন্দোলনকে ব্যক্তিগত আন্দোলনের সাথে মিলিয়া উদাহরণ দেওয়ার তো কোন যৌক্তিকতা নেই। দাবি দাওয়া থাকবেই আজীবন, তাই বলে এভাবে আদায় করতে হবে? তাহলে তো আজীবনের জন্য দেশ অচল হয়ে যাবে, বারবার এভাবে আন্দোলনের কারণে।
সহযোগিতা চেয়েছিল রাষ্ট্র সংস্কার করতে আপনাদের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতে কিন্তু জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকর্তা করতে না।