নোয়াখালী সরকারী কলেজ অনুষ্ঠিত হয় শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থী সমাবেশ এবং মতবিনিময় সভা।

নোসক প্রতিনিধিঃ
মোঃ আকরাম উদ্দীন
আজ ১৫ মে, রোজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ঃ০০ ঘটিকার সময় ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ক শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থী সমাবেশ এবং মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেন, উপাধ্যক্ষ এ.বি.এম ছানা উল্লাহ, মানবিক কোর্স কো- অর্ডিনেটর দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোল্লা মুহাম্মদ মাসুদ এবং বিজ্ঞান কোর্স কো – অর্ডিনেটর উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. বকুল ভট্টাচার্য সহ অত্র কলেজের সিনিয়র শিক্ষকগণ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন একাদশ শ্রেনীর ২০২৪-২০২৫ শিক্ষার্থীদের অভিভাবক এবং নোয়াখালী সরকারি কলেজের ছাত্র সংগঠন।
উক্ত মতবিনিময় সভায় নোয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জাকির হোসেন বলেন, আমরা শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো গতিশীল করে তুলতে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন শিক্ষার্থীরা শতভাগ উপস্থিত থেকে মনোযোগ দিয়ে প্রত্যেকটা ক্লাস করে ভালো রেজাল্ট যেনো করে আমরা সেই আশা করি।
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন শিক্ষার্থীরা ক্লাসে উপস্থিত থাকলে আমরা তাদের সব দিকে নজর দিতে পারি। সে পড়াশোনায় কতটুকু মনোযোগী এসব বিষয়ও আমাদের নজরে আসে। কিন্তু পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখতে আপনাদের পদক্ষেপ বেশি গ্রহণ করতে হবে। আপনাদের খোঁজ নিতে হবে তারা ঠিক মতো ক্লাস করেছে কিনা। একাডেমিক পড়াশোনা বাদ দিয়ে তারা মোবাইলে আসক্ত কিনা এই ব্যাপারটা একজন অভিভাবক ভালো তদারকি করতে পারবে।

কোর্স কো- অর্ডিনেটরদের বক্তব্যে উঠে আসে, শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতি।
এছাড়া উনারা জানান, আমাদের শিক্ষকদের অধীনে ৩০ জন করে শিক্ষার্থী আছে। আমরা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুফের মাধ্যমে তাদের সকল নোটিশ পৌঁছায় দেওয়ার চেষ্টা করি। তাদের সব ধরনের সমস্যায় আমরা সহযোগিতা করার চেষ্টা করি। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা ভালো রেজাল্ট নিয়ে আমাদের এখানে ভর্তি হয়েছে যাতে ভালো রেজাল্ট তারা নিয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবির নোয়াখালী সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি মো: ইব্রাহিম বলেন, ইন্টারমিডিয়েট শিক্ষাথীদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময়। এসময় বলে দিবে তারা আগামীতে কি হবে। তাদেরকে পরিশ্রমী হতে হবে। পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হবে নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য।
অভিভাবকদের তিনি বলেন, একাডেমিক পড়ালেখার পাশাপাশি তাদেরকে নীতি নৈতিকতার শিক্ষা দিতে হবে, যাতে তারা শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি নীতি নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ হয়ে উঠে। আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে তারা কেমন বন্ধুদের সাথে চলাফেরা করছে, যাতে বাজে বন্ধুর প্ররোচনায় অন্যায় কাজে জড়িয়ে না পড়ে।
অভিভাবকদের বক্তব্যে উঠে আসে, সন্তানদের পড়াশোনার প্রতি তাদের দায়িত্ববোধ। অভিভাবকরা জানান, আমাদের ছেলে মেয়েরা ৪,৫ ঘন্টা শিক্ষকদের সাথে থাকে বাকি ১৯ , ২০ ঘন্টা আমাদের সাথেই থাকে, সেই দিক থেকে তাদের পড়াশোনা, ভালো মন্দের দিকে আমাদের আরো মনোযোগী হওয়া উচিৎ। আমাদের সতর্ক হওয়া উচিৎ তারা ঠিক মতো ক্লাস করছে কিনা, তারা বাসায় পড়াশোনা করছে কিনা। তাদের পরীক্ষাগুলো কেমন হচ্ছে। এসব বিষয়ে আমরা অভিভাবকরা যদি একটু মনোযোগী হয় তাহলে আমাদের সন্তানরা ভালো রেজাল্ট করবে। সর্বশেষ তারা কলেজ শিক্ষকদের ধন্যবাদ দেন এমন একটা অভিভাবক সমাবেশ আয়োজন করার জন্য