শহীদ গোলাম নাফিজের জন্মদিনে রাষ্ট্রীয় নীরবতা: কৃতজ্ঞতা না বিস্মৃতি?

আজ ২২ মে, শহীদ গোলাম নাফিজের জন্মদিন। ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফার্মগেট এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন এই কিশোর। তাঁর রক্তে রচিত হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতার ইতিহাস। তবে আজ তাঁর জন্মদিনে রাষ্ট্রীয় কোনো শ্রদ্ধা বা রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে কোনো স্মরণ নেই।
নাফিজ বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাস করে নৌবাহিনী কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হন। ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ফার্মগেট এলাকায় আন্দোলনে অংশগ্রহণের সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। সহযোদ্ধারা তাঁকে রিকশায় করে হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়, ফলে সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে তিনি মারা যান।
নাফিজের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারকে সমর্থন জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি শহীদের বাসায় প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে সহমর্মিতা প্রকাশ করেন এবং শহীদ নাফিজের স্মরণে একটি চত্বর ঘোষণার দাবি জানান।
তাঁর স্মৃতিকে ধরে রাখতে লেখিকা আফরোজা আক্তার সীমা ‘মুক্তির দ্বারপ্রান্তে যে ছবি কথা বলে’ নামে একটি বই প্রকাশ করেছেন, যা একুশে বইমেলায় উন্মোচিত হয়।
তবে আজকের দিনে, যখন তাঁর জন্মদিনে রাষ্ট্রীয় কোনো আয়োজন নেই, তখন প্রশ্ন ওঠে—এই কি আমাদের কৃতজ্ঞতা? যিনি প্রাণ দিলেন দেশের জন্য, তাঁর স্মরণে আমরা এতটাই উদাসীন?
শহীদ গোলাম নাফিজের আত্মত্যাগ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য তরুণদের অবদান কখনো ভোলা উচিত নয়। তাঁর স্মৃতি আমাদের প্রেরণা হয়ে থাকুক।