খেলাধুলা

চেষ্টা করেও পারলেন না মিয়ামি, বিদায়ের শঙ্কায় মেসির দল ইন্টার মিয়ামি

ভ্যাঙ্কুভারের কাছে ২:০ গোলে হেরে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপ থেকে বিদায়ের আশঙ্কায় পড়েছে মেসির ইন্টার মায়ামি। সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ভ্যাঙ্কুভারের কাছে মায়ামি হেরেছে।

আজ শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেও জ্বলে উঠতে পারেননি লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন তারকার নিষ্প্রভ থাকার দিনে সুবিধা করতে পারেননি লুইস সুয়ারেজরাও। যা শেষ পর্যন্ত হতাশাজনক একই হারের স্বাদ।

এর আগে কোয়ার্টার ফাইনালে লস অ্যাঞ্জেলেসের কাছে প্রথম লেগে হেরে ফিরতি লেগে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল মায়ামি। সেই ঘুরে দাঁড়ানোর দৃষ্টান্তই এখন মায়ামির জন্য অনুপ্রেরণার। সেবার অবশ্য প্রথম লেগে মায়ামি হেরেছিল ১–০ গোলে। এবার ব্যবধানটা ২ গোলের হওয়ায় বেশ চাপেই থাকবে মেসির দল।

ভ্যাঙ্কুভারের ঘরের মাঠে উৎসব মেসি হতাশা। এএফপি

ভ্যাঙ্কুভারের মাঠ বিসি প্ল্যাসে ম্যাচের ৭তম মিনিটে পিছিয়ে যেতে পারত মায়ামি। সে যাত্রায় গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় বেঁচে যায় ফ্লোরিডার ক্লাবটি। ১২ মিনিটে দারুণ একটি আক্রমণ তৈরি করেছিলেন মেসি, যদিও সেটি গোলের জন্য যথেষ্ট হয়ে ওঠেনি।

১৭ মিনিটে সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি ভ্যাঙ্কুভার ক্লাব। কিছুক্ষন পর গোটা স্টেডিয়ামকে মাতিয়ে দারুণভাবে প্রতিপক্ষ বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি। কিন্তু কাছাকাছি গিয়েও অল্পের জন্য পাওয়া গোল হয়নি ।

২২ মিনিটে আবারও মেসির সামনে সুযোগ এসেছিল গোল করার। বুসকেতসের দারুণভাবে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়েও ফিনিশ করতে পারেননি। মায়ামি অধিনায়ক না পারলেও ভুল করেননি ভ্যাঙ্কুভারের ব্রায়ান হোয়াইট। পেদ্রো ভিতের দুর্দান্ত এক ক্রসে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন এই মার্কিন স্ট্রাইকার।

গোল খেয়ে ঘুরে দাঁড়াতে উন্মুখ হয়ে ওঠে মায়ামি। ২৯ মিনিটে চেষ্টা করেছিলেন মেসি। তবে মেসির সেই প্রচেষ্টা পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। ৩৬ মিনিটে তাঁর আরেকটি শট সরাসরি গিয়ে জমা হয় ভ্যাঙ্কুভার গোলরক্ষের হাতে।

আরো পড়ুনঃ ২৫শে এপ্রিল – বার্সা হৃদয়ের সুখ-দুঃখের দিন

প্রথমার্ধের শেষ দিকে ম্যাচে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে মায়ামি। দলীয় নৈপুণ্যে বেশ কয়েকবার প্রতিপক্ষ রক্ষণে হানাও দেন মেসি-সুয়ারেজরা। কিন্তু বিরতিতে যাওয়ার আগে কাঙ্ক্ষিত সমতাসূচক গোলটির দেখা মেলেনি।

বিরতির পরও আক্রমণ, প্রতি–আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। দুই দলই এ সময় চেষ্টা করে গোল আদায়ের। তবে পিছিয়ে থাকা মায়ামিই একপর্যায়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং মেসির নেতৃত্বে একের পর এক আক্রমণে গিয়ে চেষ্টা করে গোল করার। ম্যাচে শুরু থেকেই রক্ষণে দৃঢ়তা দেখানো ভ্যাঙ্কুভার বারবার আটকে দিয়েছে মেসি–সুয়ারেজদের।

মায়ামি না পারলেও পেরেছে ভ্যাঙ্কুভার। ৮৫ মিনিটে দারুণ এক আক্রমণ থেকে দলকে দ্বিতীয় গোল এনে দেন বেরহাল্টার। এই গোলের পরই মূলত নিশ্চিত হয়ে যায় মায়ামির হার। এরপর চেষ্টা করেও আর ব্যবধান কমাতে পারেননি মেসি বাহিনীরা। মাঠ ছাড়তে হয় হতাশার এক হার নিয়ে।

১ মে মায়ামির মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।

ভ্যাঙ্কুভারের ঘরের মাঠে উৎসব মেসি হতাশা

ধ্রুবকন্ঠ/এমআর

মোহাম্মদ রায়হান

স্পোর্টস ডেস্ক, ধ্রুবকন্ঠ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button