জাতীয়

মোজাইক প্রতারণার প্রতিবাদে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনের সামনে মিছিল ও স্মারকলিপি

আজ ২৬ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, প্রগতি সরণিতে অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনের সামনে ‘অস্ট্রেলিয়ার কোম্পানি মোজাইক ব্র্যান্ড কর্তৃক আত্মসাতকৃত অর্থ ফেরত আনা, আন্তর্জাতিক আদালতে প্রতারণার বিচার এবং শ্রমিক ও শিল্প রক্ষার দাবিতে’ মিছিল, সমাবেশ করে ২২ টি ক্ষতিগ্রস্থ কারখানার শ্রমিক ও প্রতিনিধিরা। ২২ কারখানার ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের সাথে সংহতি জানিয়ে প্রতিবাদে অংশ নেন ও বক্তব্য রাখেন গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, সহসভাপতি অঞ্জন দাস, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহিম চৌধুরি এবং ২২ কারখানার শ্রমিক প্রতিনিধি মইন আহমেদ, নারী শ্রমিক প্রতিনিধি রিবন বেগমসহ অন্যান্যরা। সমাবেশ শেষে ৫ দফার স্মারকলিপি পেশ করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার ও ২২টি গার্মেন্ট কারখানার ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকবৃন্দর প্রতিনিধি আব্দুল মালেক।

ডিপুটি হাই কমিশনার লিখিত স্মারক লিপি গ্রহণ করেন। এবং শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে আশ্বাস দেন এই বিষয়ে তাদের দিক থেকে তারা তদািরকি করবেন। তবে এটি জটিল আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। শ্রমিক পক্ষ থেকে তাসলিমা আখতার বলেন, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব দীঘর্দিনের। বাংলাদেশের শ্রমিকরা আশা করে শ্রমিকদের পাওনা ও জীবন বীবিকা নিশ্চিতে এবং ২২ কারখানা রক্ষায় হাই কমিশনারের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়া সরকার দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে । মোজাইক ব্র্যান্ডকে আন্তর্াতিক আইনের আওতায় এনে দ্রুত শ্রমিক ও ২২ কারখানার পাওনা প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ফেরত আনার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে আহবান জানান।

এছাড়া সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার বলেন, অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানি মোজাইক ব্র্যান্ডস লিমিটেডের প্রতারণামূলক ব্যবসার কারণে বাংলাদেশের ২২টি কারখানার শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। গত তিন বছর ধরে মোজাইক ব্র্যান্ডস তাদের বকেয়া পরিশোধ না করায় জাস অ্যাপারেলস (ZAS Apparels) কারখানাটি বন্ধ হয়ে গেছে। সেইসাথে অন্য কারখানাগুলো মজুরি পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। তিনি অবিলম্বে কারখানাগুলোর পাওনা টাকা ফেরত আনা এবং ক্ষতিপূরণ প্রদানের পাশাপাশি মোজাইক ব্র্যান্ডসের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত শুরুর জন্য অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনের কাছে আহবান জানান।

সমাবেশ থেকে ২২টি কারখানার পক্ষ থেকে অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনের কাছে ৫টি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে আছে, মোজাইক ব্র্যান্ডসের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও দেউলিয়া অবস্থায় ব্যবসা পরিচালনার জন্য ফৌজদারি তদন্ত শুরু করা; জড়িতদের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ও অস্ট্রেলিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও ২২টি কারখানাকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া।

আলী মুর্তজা রাজু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধ্রুবকন্ঠ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button