তীব্র দাবদাহে টাঙ্গাইলের মানুষের জীবন বিপর্যস্ত প্রায়

মোঃএরশাদ, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
তীব্র দাবদাহে টাঙ্গাইলের মানুষের জীবন বিপর্যস্ত প্রায়।মৌসুমের বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় টাংগাইলের সর্বএই তীব্র গরম বিরাজ করছে। রোদের তীব্রতা বেশি হওয়ায় অল্পতেই মানুষ হাপিয়ে যাচ্ছে।
ফলে শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছে।
শাহজাহান নামের একজন কৃষক জানান,টাংগাইলে কৃষকদের এখন মৌসুমের ধান ঘরে তোলার সময়। এই তীব্র দাবদাহের কারণে তারা ঠিক মতো কাজ করতে পারছে না।কাজতে গিয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে টাঙ্গাইলে গত কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা প্রায় ৩৮-৩৯ ডিগ্রিতে বিরাজ করছে।
আবহাওয়া অফিসের এক সতর্কবর্তায় বলা হয়েছে,টাংগাইল জেলায় এ তাপমাত্রা আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে বিদ্যুৎ থাকছে না অধিকাংশ সময়ই।তীব্র গরমে পুড়ছে নগর ও
জনজীবন। ভোগান্তিতে এগিয়ে শিশু ও বয়স্করা।
টাংগাইলসহ সারাদেশে সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ছাড়াও জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ছুটছেন অগণিত মানুষ।
জ্বরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রির অধিক হয়ে হিটস্ট্রোকের মত মারাত্মক জীবন সংকটাপন্ন অবস্থা ঘটছে।
ভ্যাপসা গরমে শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ও লবন বেরিয়ে দেখা দিচ্ছে পানিশূন্যতা ও শরীরে লবনের ঘাটতি।
ভূগর্ভের পানি নিচে নেমে গিয়ে সুপেয় পানির অভাব দেখা দিচ্ছে, ফলে ডায়রিয়া সহ নানান জটিলতা লেগেই থাকছে।
এমতাবস্থায় করণীয় সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা: আমিনুর রহমান(নিউরোসার্জন) বলেন,
বেশি বেশি সুপেয় পানি পানের পাশাপাশি হাল্কা লবনযুক্ত পানি, ওরস্যালাইন, ডাবের পানি পান করতে হবে। শিশু ও বয়স্কদের বাড়তি যত্ন নিতে হবে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে শ্রমিকদের ছায়াযুক্ত স্থানে বিশ্রামের পরামর্শ দেন।
এছাড়াও তিনি বলেন, জলাশয় বাড়াতে হবে। বাড়াতে হবে বনাঞ্চল। বেশি বেশি গাছপালা লাগাতে হবে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমিয়ে আনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোকে একযোগে কাজ করতে হবে।