আ.লীগ চেয়ারম্যানের জরুরী সভার প্রটোকলে বিএনপি নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নোয়াখালী সদর উপজেলায় বিএনপি নেতার প্রটোকলে জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ও চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে জরুরী সভায় উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) সকালে সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়ন পরিষদের দীর্ঘদিন পলাতক থাকা চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন জুনায়েদ এর প্রর্তাবর্তন ঘটলে এ নিয়ে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে একাংশ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অভিযুক্ত ছালেহ উদ্দিন ভুঁইয়া নোয়ান্নই ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সন্ত্রাসী ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা দিলদার হোসেন জুনায়েদ দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর হঠাৎ করে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আসেন এবং কিছুক্ষণ অবস্থান করে কিছু কাগজপত্র সই-সাক্ষর করেন। এছাড়াও চেয়ারম্যান জুনায়েদ কে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যগণ তাকে ফুলের তোড়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তাকে প্রটোকল দিয়ে কার্যালয়ে নিয়ে আসেন ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ছালেহ উদ্দিন ভুঁইয়া ও তার সহযোগীরা। বিএনপির এই নেতা মোটরসাইকেল যোগে আ.লীগের এই ইউপি চেয়ারম্যানকে নিরাপদে পৌঁছে দেন বলে জানিয়েছেন তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির কয়েকজন কর্মী সমর্থক জানান “আওয়ামী দুঃশাসনের আমলে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ভাবে জুলুম নির্যাতন করে আসছিল দিলদার হোসেন জুনায়েদ। তিনি জুলাই আন্দোলনে প্রকাশ্যে ছাত্রদের উপর হামলা করে। তার বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। কিন্তু হত্যা মামলার এই আসামী কে যখন আমাদেরই বিএনপির নেতাকর্মীগণ প্রটোকল দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে তখন আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়।
স্থানীয়রা জানান, নোয়াখালী সদর উপজেলার সবকটি ইউনিয়ের মধ্যে সবচাইতে বেশি অবহেলিত নোয়ান্নই ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের রাস্তা-ঘাটের বেহাল দশা। জুনায়েদ চেয়ারম্যান দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান হলেও তিনি এলাকার কোনো উন্নয়ন কাজ করেন নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ওই বিএনপি নেতা ছালেহ উদ্দিন ভুঁইয়াকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেন নি।মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া যায় নি।
জানতে চাইলে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন জুনায়েদ কে ফোন করা হলে কোন সংযোগ পাওয়া যায়নি।