জাতীয়

বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যুক্ত হতে যাচ্ছে আরো ৬টি ডেডিকেটেড অ্যাটাক সাবমেরিন

এই সাগরের( বঙ্গোপসাগর) একমাত্র গার্ডিয়ান আমরাই এই কথাটির সাথে মোটামুটি আমরা সবাই পরিচিত। যারা জানেন না বা এখনো শুনেন নাই তাদের উদ্দেশ্যে বলছি এই কথাটি বলেছিলেন আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস স্যার। তিনি তার এক বিবৃতিতে বলেন যেহেতু ভূটান, নেপাল এমনকি সেভেন সিস্টারের কোন সাগরপথ নেই এবং বাংলাদেশের পুরো উপকূল বঙ্গোপসাগরের সাথে জড়িত তাই একমাত্র এই সাগরের মালিক আমরাই অর্থাৎ বাংলাদেশ। উনার এই কথার ফলে পাশের দেশের বুকে কাপন উঠে গিয়েছিলো এমনকি সেই দেশের মিডিয়াগুলো এই বিষয় নিয়ে অনেক খবর প্রচার করে ছিলো।

এবার আসি আসল কথায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উন্নয়নে এবং বঙ্গোপসাগরে নিজেদের শক্তিমত্তা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য আরো ৬টি সাবমেরিন ক্রয় করা হবে এবং এই ৬টি সাবমেরিন ডেডিকেটেড অ্যাটাক সাবমেরিন হবে,ধারণা করা হচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য ৬টি সাবমেরিন চীন হতে ক্রয় করা হতে পারে এবং সেই লক্ষ্যে চীনে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাবমেরিন ক্রুরা প্রশিক্ষণ নিবে এবং সেটির চুক্তিও খুব দ্রুত সম্পন্ন হবে। পেকুয়াতে অবস্থিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যে সাবমেরিন বেইজ রয়েছে সেটি আরো আধুনিক করা হবে চীনের সাহায্য নিয়ে।বিএনএস পেকুয়া দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম সাবমেরিন ঘাঁটি।

ভারত এতো বছর বাংলাদেশের উপর বিভিন্ন চাপ প্রয়োগ করে সামরিক কেনাকাটা করতে দিতো না তার অন্যতম কারন ছিলো ভারত জানতো যে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকরা ভারতের বিরুদ্ধে একদিন না একদিন যাবে এবং বাংলােশের সামরিক খাত যদি উন্নত হয় তাহলে যুদ্ধে বাংলাদেশের সাথে টিকে থাকতে কষ্ট হবে তাই সবার আগে বিগত সরকার দিয়ে বাংলাদেশকে একটি দূর্বল সামরিক শক্তির দেশ হিসেবে বানিয়ে রেখেছিলো।

বর্তমানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে চীনের তৈরি ২ টি Type-035G Ming Class Submarine রয়েছে। মূলত সাবমেরিনাদের ট্রেনিং এর জন্য কেনা হয়েছিলো। Type-035G Ming Class Submarine ট্রেনিং এর পাশাপাশি অ্যাটাক রোলেও ভূমিকা পালন করতে পারে।

আলী মুর্তজা রাজু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধ্রুবকন্ঠ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button