Uncategorized

পুরো দেশটাই একটি পরিবার-নোবেলজয়ী

ঢাকায় নেমেই বড় মন নিয়ে নোবেলজয়ী বলেছিলেন, পুরোদেশটাই একটি পরিবার। সবার আগে আমাদের ঐক্য দরকার। শান্তিতে নোবেলজয়ী বাংলাদেশের কৃতী সন্তান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া একমাত্র ‘গ্লোবাল সেলেব্রিটি’ অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। ৮৪ বছরেও তারুণ্যে ভরপুর মানুষটির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি যা গবেষণা করেন-তা মাঠে বাস্তবায়ন করেন। বিশ্বের একমাত্র ব্যক্তি যিনি তাঁর চিন্তার ব্যবহারিক প্রয়োগ ঘটিয়ে সফল হয়েছেন-যেমন : ক্ষুদ্রঋণ, সামাজিক ব্যবসা, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, দারিদ্র্যবিমোচন, তারুণ্যের নেতৃত্ব ও উদ্ভাবনী কাজে লাগানোর মতো তাঁর অনেক দর্শন ও চিন্তা বিশ্বকে প্রগতির পথে এগিয়ে নিচ্ছে প্রতিনিয়ত।

তাঁর সরকার গত ৭ মাসে দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে ধরেছেন।
লুট হওয়া ব্যাংক খাতকে বন্ধ না করে বাঁচিয়ে তুলেছেন।
২০০টাকা পেয়াজ ৪০টাকা, ৪০০টাকার কাঁচামরিচ ৫০টাকা, ১০০টাকার তরকারি ৪০/৫০টাকায় নেমে এনেছেন। এভাবে তেল ছাড়া সব পণ্যের দাম যারা বাজার করেন তারা জানেন কমেছে। এই সুন্দর বিষয় গুলো নিয়ে লিখুন-

তিনি চা বিক্রেতা নন। উচ্চ শিক্ষিত। যেই অমত্য সেন একসময় তাঁর সকল দু.সময়ে চুপ ছিলেন এখন তিনি বলছেন, আমার বন্ধু প্রফেসর ইউনূস ভালো কিছু কাজ দেখিয়েছে।

তিনি সরকার পতনের পর ১০লক্ষ কর্মী মারা যাবে বলে যারা আশংকা করেছিলেন, বলেছিলেন-তাদের সেই মিথ্যা তথ্যকে ভুল প্রমাণিত করে, দেশকে ভীষণ অন্ধকার হতে টেনে ধরেছেন। এখনও যারা এফবিতে নানাভাবে চিৎকার দিচ্ছেন তাদের বলি, ১৬ বছর এখনও হয়নি, মাত্র ৭ মাস। অপেক্ষা করুন, কী হয়?

তিনি মেসি। শেষ গোলটা তিনিই দিবেন, তিনি মেরাডোনা ঈশ্বরের হাতে বল জালে পাঠাবেন। শুধু অপেক্ষা করুন। যারা নির্বাচন নিয়ে অস্থির হয়ে উঠেছেন, তাদের বলি একটু সময় দেন, ক্ষমতায় আপনারাই যাবেন, এটি জনগনও মনে করেন!! কিন্তু কর্মী বাহিনীকে একটু থামিয়ে এগিয়ে গেলে শান্তিতে দেশ পরিচালনার সুযোগ পাবেন। জনগণ তথাকথিত ক্ষমতা রদবদলের পক্ষে না। বিনয়ের সাথে বলছি, মানুষের মন-মেজাজ না বুঝলে রাজনীতি মিথ্যায় পরিণত হয়, আপা তার দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন।

আমরা সাধারণরা আর ক্রেডিট নিই না। সকল ক্রেডিট রাজনৈতিক দল গুলোর। ১৭ বছরে কতভাবে নিগৃহিত হয়েছি এখন আর বলি না, কারণ আমাদের প্রত্যাশা দেশ ভালো থাকুক-আপনারা ক্ষমতায় গিয়ে ভালো রাখুন।

একটি খাদের কিনারে রেখে যাওয়া জনপদকে টেনে তুলতে সময় লাগে। দেশের দুর্নীতি আর চাঁদাবাজি বন্ধ হলে এই দেশ হবে অনন্য। আমার বিশ্বাস দিন শেষে নোবেলজয়ী গোলটি করবেন। আসুন ভালো দিক গুলো নিয়ে কথা বলি, সহায়তা করি। আর মন্দ যা আছে সেটিও বলি, নচেৎ ভুল গুলো ভুল থেকে যাবে। দিনশেষে মনে রাখবেন, দেশটি আমাদের-সকলের।

৫ মার্চ ২০২৫ বুধবার।

আলী মুর্তজা রাজু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধ্রুবকন্ঠ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button